তথ্য অধিকার আইনে তথ্য নিতে গিয়ে সাংবাদিককে ইউপি চেয়ারম্যানের হুমকি

তথ্য অধিকার আইনে তথ্য নিতে গিয়ে সাংবাদিককে ইউপি চেয়ারম্যানের হুমকি
হরিনাকুন্ডু প্রতিনিধি
সাধারণভাবে তথ্য নিতে গিয়ে নানা হয়রানি ও বিড়ম্বনার শিকার হওয়ার পরও তথ্য মেলেনি হরিনাকুন্ডু  উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়ন পরিষদে। অবশেষে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন ফর্মে আবেদন করলেও তথ্য মিলছে না।
তাহেরহুদা ইউনিয়ন পরিষদের সাধারন সেবার তথ্যসহ ইউপি  চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম মনজের কর্তৃক ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত এলজিএসপি’র প্রকল্পসমুহে অনিয়ম, চল্লিশ দিনের কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়ম ও ল্যাকটেটিং মাদার উপকারভোগীদের নিকট হতে টাকা নেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিস্তরভাবে অনুসন্ধানে নামে দৈনিক আগামীর সংবাদ। প্রকল্পগুলোর বিষয়ে প্রথমে স্হানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর, হরিনাকুন্ডুতে যোগাযোগ করা হলে বিস্তারিত তথ্য ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষিত আছে মর্মে ইউপি সচিব বরারবর তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তির জন্য আবেদন করার পরামর্শ দেন। তাহেরহুদা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বরাবর আবেদন করলে সচিব আসাদুজ্জামান লিটন সেটি গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানালেও পরে সেটি গ্রহন করেন এবং প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দেন। তবে কবে নাগাদ তথ্য সরবারহ করবেন সে ব্যাপারে তিনি কোন প্রকার লিখিত দিতে রাজি হননি।
এরপর থেকেই তথ্য প্রদানের তারিখ ও তথ্য প্রদান নিয়ে  চলে টালবাহানার খেলা। আবেদনের পাচদিন পর ইউ পি সচিবের কাছে তথ্য সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে গেলে দেখা যায় তিনি আবেদন ফরমটি কোথায় রেখেছেন তা খুজে বের করতে পারছেন না। অনেক খোজাখুজির পর ফরমটি বিভিন্ন ফাইলের নিচে চাপা থাকা অবস্হায় উদ্ধার করা হয়। তবে তিনি সেদিনও কবে নাগাদ তথ্য দেবেন সে ব্যাপারে জানতে চাইলে বিরক্ত প্রকাশ করে বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন তথ্য দিতে পারব না, আপনি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে বলেন।
পত্রিকাটির প্রতিনিধি সচিবকে চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় তথ্য প্রস্তত করে সরবরাহ করার অনুরোধ জানালে তিনি বিষয়টি চেয়ারম্যান কে অবহিত করেন। তবে চেয়ারম্যান কোন ধরনের তথ্য প্রদান করা যাবে না বলে সচিবকে নির্দেশনা দেন বলে সচিব জানান।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম মনজের আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে হুমকি দিয়ে বলেন, আপনার কামডা ঠিক হচ্ছে না, আপনি কার সাথে কি করতে এসেছেন তার পরিনাম কি বুঝে এসেছেন, নাকি না বুঝে এসেছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন